দীর্ঘ ৫ বছর তিনি শব্দ করে আল্লাহ বলতে পারেন না! যে আল্লাহর নাম নিয়ে, যে আল্লাহর কথা নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন তিনি দেশজুড়ে, ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের আনাছে-কানাছে, যে আল্লাহর চিরন্তর বাণী কোরআনের তেলাওয়াত দিয়ে ঝড় তুলেছেন লক্ষ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে, সেই আল্লাহর নামটি এখন স্বশব্দের আর উচ্চারণ করতে পারেন না তিনি। আর তাই এখন দু'চোখ দিয়ে বের হতে থাকে বিদগ্ধ পানি। এ যেন কান্না নয়, কষ্টের বরফগলা। এ যেন যন্ত্রণার বিষাক্ত ঝরনাধারা।
কান্নাই এখন তার সব'চে কাছের, সব'চে বিশ্বস্থ বন্ধু। কত রাত, গভীর রাত তিনি চোখের জলে বুক ভাসিয়েছেন আল্লাহর জিকির করে করে। কত রাত ভোর হয়েছে তেলাওয়াতের সুরে সুরে। আজও তিনি চোখের জলে বুক ভাসান এই জল প্রিয় প্রভুকে চিৎকার করে ডাকতে না পারার বেদনার। তার এখনকার চোখের পানি কষ্টের, দগ্ধ অন্তরের, অতৃপ্তির, যন্ত্রণার। তিনি আমাদের সকলের প্রিয় ক্বারী মাওলানা উবায়দুল্লাহ।
৫ বছর ধরে তিনি কথা বলতে পারেন না। ডানপাশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পারলে আবারো তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারতেন ক্বিরাতের জগতে। আবারো মাতিয়ে তুলতে পারতেন কোরআন প্রেমীদের হৃদয়। কিন্তু বড় অবহেলায় পড়ে রয়েছেন এই বাংলাদেশের জাতীয় ক্বারী। খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনারাও এক সময় ক্বারী উবায়দুল্লাহর তেলাওয়াত শুনে বিমুগ্ধ হতেন। আর আজ .......
রমযান মাসে জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমে ক্বিরাআত প্রশিক্ষণ দেয়া হয় । ক্বারী উবায়দুল্লাহও রমযান মাসে ঘুরে বেড়িয়েছেন ক্বিরাআতের সেন্টারগুলোতের। তেলাওয়াতের সুরের মুর্ছনায় ঝংকার তুলেছেন অযুত অন্তরে। আযান আজও আছে তবে হযরত বিলাল (রাঃ)’র সেই আযান আর শুনা যায় না। ক্বিরাআত আজও হয়, তবে ক্বারী উবায়দুল্লাহ’র সেই সুর আর কানে ভেসে আসে না!
দুই//
বাংলাদেশের জাতীয় ক্বারীর স্বীকৃতি পাওয়া মাওলানা ক্বারী উবায়দুল্লাহ রাষ্ট্রপতির ভাষণ, বাজেট অধিবেশনসহ জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন, রাষ্ট্রপতির বিশেষ কোনো প্রোগ্রামে, রেডিও, টেলিভিশনে, সর্বত্র কোরআনের তেলাওয়াত দিয়ে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক ক্বিরাআত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন। সেই সাথে চকবাজার শাহী মসজিদের খতীব হওয়ায় প্রতি জুম্মায় পবিত্র কোরআনের মর্মবাণীও ব্যাখ্যা করে শুনিয়েছেন মুসলমানদের।
বিভিন্ন দ্বীনি মাহফিলে বক্তব্য রেখেছেন। নসিহত করেছেন লোককে। জীবন ভর কোরআন সংশ্লিষ্ট খেদমতে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। কোনো প্রতিদান চান নি। নীতির প্রশ্ন আপোষও করেন নি কখনও। কাউকে হেয়-ও করেন নি আবার তেলও মারেন নি। যে যুগে টেলিভিশনে সুযোগ পাবার জন্য একশ্রেণীর ক্বারী সাহেবান লাইন ধরে থাকেন, সেই যুগে এমনও হয়েছে যে, টেলিভিশন থেকে লোক এসছে গাড়ী নিয়ে, টিভিতে তেলাওয়াতের উদ্দেশ্য নিয়ে যাবার জন্য কিন্তু তিনি গাড়ী ফিরিয়ে দিয়েছেন কিরআতের ক্লাস করাচ্ছিলেন বলে। দারস্ ছেড়ে উঠেন নি। রাষ্ট্রীয় অফার ফিরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট বড় ঈমানী কলিজা লাগে। সেরকম বিশাল একটি কলিজা নিয়েই জন্মেছেন তিনি।
কখনোই কোনো দুর্বলতা ছিল না তাঁর। নিজের জন্য এ অব্দি কিছুই করেনি। এবং তার'চেও আশ্চর্য ব্যাপার হলো, সেই চেষ্টাই করেন নি কখনো। এখনও ঢাকার লালবাগ চাদনীঘাটে জীর্ণ-শীর্ণ এক ঝুপড়ীতেই বাস করেন। খাট-বিছানাও অতি নিম্ন মানের। চাইলে অনেক কিছুই করতে পারতেন তিনি, কিন্তু কোরআনের সুর যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে, তার আর কী চাই? হায়! আজ তিনি সেই প্রিয় কোরআন আর সুর করে তেলাওয়াত করতে পারেন না!
তিন//
বেশ কিছুদিন আগেও জাতীয় পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতা জুড়ে কভারেজ পেয়েছিলেন কন্ঠ শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। “গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমীনকে সু-চিকিৎসার মাধ্যমে আবারো গানের জগতে ফিরিয়ে আনতে দেশবাসীর সহযোগিতা চাই” টাইপের বিজ্ঞাপন, নিউজ, হয়েছে। দিনের পর দিন ফলোআপ প্রতিবেদনও হয়েছে। সরকারও সাবিনা ইয়াসমীনের ব্যাপারে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আচরণ করেছেন। সরকারের উদ্যোগে এবং গানপ্রিয় মানুষের সহায়তায় সাবিনা ইয়াসমীন সুস্থ হয়েছেন। ফিরে এসেছেন আবারো সেই জগতে, যেখানে তার বিচরণ।
এই দেশে অর্থাৎ ৮৮% মুসলমানের এই বাংলাদেশে গানের ভক্তরা তাদের গানের পাখিকে আবারো গানের জগতে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা-তদবীর করতে পারে, কিন্তু কোরআনের পাখি ক্বারী উবায়দুল্লাহ'কে আবারো তেলাওয়াতের সুরের জগতে ফিরিয়ে আনার জন্য কেউ ‘টু’ শব্দটিও পর্যন্ত করছেন না!
দীর্ঘ ৫০ বছর এদেশে কুরআনের খেদমত করলেন মানুষটি। তিনি তেলাওয়াতের জন্য গেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনই শুরু হতোনা, শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামই শুরু হতোনা। সেই মানুষটি আজ পড়ে আছেন অযত্নে-অবহেলায়। কেউ কিছু বলছেনা।
ক্বারী উবায়দুল্লাহ এখনো প্রতি রাতে হাত তুলে চোখের পানি ছেড়ে ছেড়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য দোয়া করেন। তবে তাঁর বুকের ভেতর যে চাপা ক্ষোভ ও যন্ত্রনা রয়েছে, সেটাকে তো তিনি চাইলেও মুছে ফেলতে পারবে না। আর ক্বারী উবায়দুল্লাহর মতো খালিস্ দ্বীনদার কুরআনের খাদিমের প্রতি আমাদের অবজ্ঞা ও অবহেলার পরও আমরা বুঝতে পারি না নার্গিস, আয়লা ও লায়লারা বারবার এসে আমাদের কেন হুমকি দিয়ে যায়।
, শিল্পী সমিতি সাবিনা ইয়াসমীনের জন্য মাঠে নেমেছিলেন।
আফসোস, এদেশে যদি কোনো ক্বারী সমিতি থাকতো, অথবা থাকতেন কয়েকজন কুরআনপ্রেমী, তাহলে তারাও নিশ্চয় সকলের প্রিয় উবায়দুল্লাহর জন্য মাঠে নামতেন। গানের ভক্ত আছে এদেশে লক্ষ-কোটি, তারা তাদের প্রিয় শিল্পীর জন্য সাহায্য সহযোগিতা ও ভালবাসা প্রদর্শন করেছে। ইস্! যদি এদেশে কিছু কোরআনের ভক্তও থাকতো, তাহলে তারাও তাদের প্রিয় ক্বারীর জন্য কিছু না কিছু তো করতোই।
চার//
গত ১৭ই আগষ্ট ০৮ বিশ্ব বরেণ্য এই ক্বারী, মাওলানা ক্বারী উবায়দুল্লাহকে তাঁর একান্ত কিছু অনুরাগীগণ দুই দিনের সফরে সিলেট নিয়ে এসেছিলেন। ১৭ই আগষ্ট সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে হুজুরকে রিসিভ করতে গাড়ী নিয়ে গিয়েছিলাম আমি, সাথে ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের ক্বারী মাওলানা গোলাম আহমদ সাহেব। হুজুর কথা বলতে পারেন না আবার এক সাইট প্যারালাইজ হয়ে গেছে বলে একা একা চলতেও পারেন না। সাথীদের কাধে ভর দিয়ে এসে গাড়ীতে উঠলেন। আর তখন বারবার আমার মনে পড়তে লাগলো দেড় হাজার বছর আগে শেষ নবীর জীবনের শেষে নামাজের কথা ....
. মা আয়েশার হুজরায় বিশ্বনবী মৃত্যু শয্যার শায়িত। উঠে মসজিদে যাবেন, সেই শারীরিক ক্ষমতা আর নেই। হযরত আবু বকর ইমামতির জন্য দাড়িয়েছেন বিশ্বনবীর মসল্লায়। পা টলছে, বুক কাঁপছে আবু বকরের। যেখানে দাঁড়িয়ে বিশ্বনবী নামাজ পড়াতেন, নবী এখনো পৃথিবীতেই আছেন, তারপরও নবীর মসল্লায় দাড়ানো, পা তো কাঁপবেই।
নামাজ শুরু হয়ে গেল। আল্লাহু আকবার ধ্বনি শুনে নবীজি আর স্থির থাকতে পারলেন না। দু'’জন সাহাবীর কাধে ভর করে সোজা চলে গেলেন মসজিদে। আয়েশা বলেন, আমি আল্লাহর সত্ত্বার শপথ করে বলি, নবীজি হুজরা থেকে মসজিদে যাওয়া পর্যন্ত উভয় পা’র কোনো একটি আঙুল মাটিতে সামান্য পরিমাণও ভর দিতে পারেনি। পা টেনে টেনে গিয়ে পৌছেছিলেন নামাজে।
১৫শত বছর পরে সেই নবীর এক প্রিয় শিষ্য সেই নবীর সবচে’ প্রিয় বস্তু কোরআন’র আশেক ক্বারী উবায়দুল্লাহ নিজ পায়ে আর চলতে পারেন না। কথাও বলতে পারেন না। এই অবস্থায়ও কোরআনের টানে ছুটে এসেছেন।
সেদিন আল মারকাজুল খায়রী আল ইসলামী সিলেট’র মহাসচিব মাওলানা ক্বারী রফীকুল ইসলাম মুশতাক সাহেবের বাসায় অনেক লোক জড়ো হলেন হুজুরের সান্যিধ্যের জন্য। এর মধ্যে অনেক ক্বারী সাহেবগণও এসে উপস্থিত হলেন। অনেকেই হুজুরের সামনে তেলাওয়াত করলেন। একটি ছোট খাটো ক্বিরাআত সম্মেলন মতন জমে উঠলো মুহুর্তগুলো। সকলেই খুশি প্রিয় ক্বারীকে পাশে পেয়ে। আমি লক্ষ্য করলাম হুজুর কাঁদছেন! তাঁর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে! পরিবেশ ভারী হয়ে এল। উপস্থিত সকলের মুখের হাসি মিলিয়ে গেল। এমন মাহফিলের মধ্যমণি হিসেবে সব'চে উচু স্বরে তিনিই এক সময় ক্বিরাআত পড়েছেন। আর আজ অন্যরা, তাঁর ছাত্ররা পড়ছে কিন্তু তিনি পারছেন না, কান্না ছাড়া আর কী-ই-বা করতে পারতেন তিনি?
১৯শে আগষ্ট ’০৮ ভোর ৬টায় হুজুরকে বিদায় দিতে গেলাম। মন খারাপ হয়ে গেল আবার। সবাই হাত মেলাচ্ছেন, দোয়া চাইছেন কিন্তু বিনিময়ে মুখ দিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না। শুধু চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। ঢুকরে কেঁদে উঠলেন যাবার মুহুর্তে। কেঁদে এবং কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন সিলেট থেকে।
পাঁচ//
ডাক্তার বলেছেন বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পারলে ক্বারী উবায়দুল্লাহ’র আবারো কন্ঠস্বর ফিরে পাবার বেশ ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সরকারী-বেসরকারী, কোথাও কোনো উদ্যোগ নেই। এবং তার'চেও আশ্চর্য্যরে ব্যাপার হল এ নিয়ে কোনো আলোচনাও নেই।
আফসোস! প্রিন্সেস ডায়নার অন্তর্বাসের নিলামের পরিমাণ কত তে গিয়ে উঠলো, লবণ মরিছ মাখিয়ে প্রচার করবার জন্য এদেশের মিডিয়াগুলোতে যথেষ্ট জায়গা থাকে কিন্তু ক্বারী উবায়দুল্লাহ’র মত একজন জাতীয় ক্বারীর জন্য মানবিক আবেদনের জন্য কোনো জায়গা থাকে না! আমরা কোন দেশে বাস করি!
৩রা জুন ২০১০ আল-জামেয়া কুরআন শিক্ষা বোর্ড, সিলেটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য ক্বিরাআত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আবারও সিলেট আসলেন ক্বারী মাওলানা উবায়দুল্লাহ। আসলেন, মঞ্চে উঠলেন আর অবধারিতভাবে চোখের পানিই ফেললেন। তার হাজার হাজার ছাত্র, অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী চেয়ে চেয়ে দেখলো। কারো কারো চোখ ভিজে উঠলো হয়তো। কারো মনে সামান্য দাগ কাটলো হয়তো। কিছু সময় হা হুতাশ করা হলো। ইস্ উফ্ জাতীয় কিছু আওয়াজ শুনা গেলো। আর এটা ততক্ষণ, যতক্ষণ এই মানুষটি সামনে থাকলেন। তিনি যখন চলে গেলেন, আমরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়লাম আপন ভুবনে। একজন ক্বারী উবায়দুল্লার জন্য ভাববার সময় কোথায় আমাদের!
আমি ঠিক করেছি বয়ো:বৃদ্ধ এই মানুষটির সামনে গিয়ে দাঁড়াবো। “বলবো, আপনি যদি ভেবে থাকেন বাংলাদেশে আপনার হাজার হাজার ছাত্র আছে যারা আপনাকে অন্তর দিয়ে ফিল করে, তাহলে সেটা ভুল।
আপনি যদি ভাবেন এদেশে আপনার লক্ষ লক্ষ ভক্ত অনুরাগী আছে, তাহলে সেটা আরো বড় ভুল। থাকলে তো খোঁজ নিত।
আপনি যদি ভাবেন এদেশের মানুষ আপনাকে ভালবাসে। তাই আপনার চিকিৎসার ব্যাপারে কিছু করবে, তাহলে ভুলে যান সেটা। আপনার মতো মানুষের জন্ম হয় দেবার জন্য, পাওয়ার জন্য নয়। আপনার জন্য আমরা কিছুই করছিনা। কিছুই করবো না, তবুও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে আমরা আপনাকে ভালবাসি!
আপনি একটি জীবন্ত লাশ হয়ে আমাদেররই চোখের সামনে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছেন, আমরা দেখেও দেখছি না, তবুও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে আপনাকে ভালবাসি।
আপনি চলে যাওয়ার পর পত্রিকায় পাঠানোর জন্য শোক বিবৃতিও তৈরি করে ফেলেছি অনেকে, কারণ আমরা আপনাকে ভালবাসি!
জীবনে আপনি নিজের জন্য করেণ নি কিছু। করেছেন অন্যের জন্যে, আমাদের জন্যে। এই শেষ বিকেলে এসে আমাদেরকে আর পাশে পাচ্ছেন না, তবুও আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে আমরা আপনাকে ভালবাসি।
আপনার যত ছাত্র (?) আছে সারাদেশে, যত ভক্ত আছে, সবাই আপনার দিকে শুধু তাকালেই সম্পন্ন হয়ে যেতো আপনার সু-চিকিৎসার সকল আয়োজন। কিন্তু ব্যস্ত এই পৃথিবীতে আপনার দিকে তাকাবার সময় কোথায়। তবে বিশ্বাস করুন আমরা আপনাকে ভালবাসি। খুব ভালবাসি।
প্রিয় উবায়দুল্লাহ, আপনি কি আমাদের ক্ষমা করবেন?